গাইড                                                                  
ডা. কবিতা ভট্ট  
লাঞ্চের সময়েও 'নারী স্বাধীনতা আর সম্মান” নিয়ে আলোচনা
হচ্চিল ।
প্রফেসর  শেখর কুমার কিছু একটা
বলছিল |
ডাইনিংটেবিলে ওর ঠিক সামনেই
একটি সুন্দর ফর্সা মেয়ে শালিনী  নিজের শাড়ীর আঁচল টা কোসে
বেঁধে আগুন ভরা দৃষ্টি তে ওর দিকে তাকাল । এই দেখে শেখর 
কুমার হতভাগ হয় গেল। রেগে মেগে শালিনী হঠাৎ দাড়িয়ে পড়ল আর ওর বন্ধু নিশা কে বলল,"চল বন্ধু" ।
"হয়েছে কি?  নিশা প্রশ্ন
করল ।
শালিনী উচ্চস্বরে বলল "ওঠ চল "।
 নিশা তখনি উঠে ওর পিছনে চলল ।
শালিনী, হঠাৎ তোর  কী হল ?" একটু চাপা স্বরে নিশা বলল ।
"আমার এই প্রফেসরের  কাছে কিছু প্রশ্ন ছিল, কিন্তু ও তো খুব বাজে  ।"
নিশা বলল , "হঠাৎ এই তোর
কী হল ? বল না, ও কিছু অসভ্যতা করল না কি ?"
শালিনী বলল ," দেখ বন্ধু, তুই তো  জানিস,  রিসার্চে এই
আমার সেকেন্ড ইয়ের ।
ভেবেছিলাম, এই প্রফেসর নারী স্বাধীণতা নিয়ে
বেশ  ভালই বলতে পারে।ওর সাথে কথা
বলে আমার রিসার্চের সম্বন্ধে কিছু
জানতে পারতাম।"
নিশা বলল, "এতে ক্ষতি কী? ওর সাথে কথা বলতেই পারতিস ।"
শালিনী বলল ,"কি আর বলি, তুই দেখলী  না ? প্রথমে তো ও খুব সুন্দর ভাবেই
কথা বলল। কিন্তু একটু
পরেই ও আমার  দিকে যেভাবে
তাকাচ্ছিল, সে আমার চেয়ে বেশি আর কে বুঝতে
পারে ?  তারপরে কুৎসিত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,” আপনি তো খুব
স্মার্ট।আপনাকে তো রিসার্চ পুরো করতে বেশি সময় লাগার কথাই  না। নির্লজ্জ কোথাকার ।"
নিশা বলল, " ছাড় এই সব
কথা, আমিও এইরকম অনেক প্রফেসার  কে দেখেছি যারা সবার সামনে বড় বড় কথা বলে
কিন্তু আসলে অমানুষ। না চাইলেও আমাদের  এদের গাইডেন্সেই কাজ করতে হয়।এই দুনিয়া  তে ভাল লোকের
অভাব নেই। আমরাই এদের মত লোকদের
শিক্ষা দিতে পারি।"
নিজের ঘরে যাবার
আগে শালিনী পিছনে তাকিয়ে দেখল, শেখার কুমারের মুখটা একেবারেই ফ্যাকাশে হয় গিয়ে ছিল।
                                                                             অনুবাদক : আশা বর্মন 
